আমরা জানি সুস্বাস্থ্য মানব সম্পদ। ভালো স্বাস্থ্য মানে মানসিক ও শারীরিক দুই দিক থেকেই সুস্থ ও ঠিক থাকা। অনেকের বেলায় দেখা যায় শরীর ঠিক থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যর বিষয়ে একদমই গুরুত্ব দেয় না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন ঠিকমতো চালিয়ে যেতে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় সমূহ সম্পর্কে --
১.নিয়ম মাফিক চলা।
দৈনন্দিন কাজের একটি নিয়ম দাঁড় করান। সময়ের কাজ সময়ে করুন। নিয়ম মেনে খাওয়া, সময়মত ঘুমানো এবং ঘুম থেকে জাগা ইত্যাদি। যারা নিয়ম মেনে চলে তাদের শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকার হার বেশি বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
২.নিয়মিত ব্যায়াম করা।
মানসিক ভাবে ভলো থকতে শারীরিক ভাবে সুস্থ থকাটাও জরুরী। শরীরকে সক্রিয় রাখতে সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।
৩.পুষ্টিকর খবার খওয়া।
পুষ্টিমান সম্পন্ন বা সুষম খবার খাবেন। খবারের তালিকায় বেশি করে ফল ও শাকসবজি রাখুন। মস্তিষ্ককে ভালো রাখে এমন খাবার বিশেষ করে বাদাম কিংবা পালংশাক এর মতো খাবার খাবেন।
৪.যন্ত্রের ব্যাবহার সিক্ত করা।
বর্তমান যুগে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন কিংবা মনোযোগ কেড়ে নেওয়া নানা যন্ত্র রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যতটা সম্ভব যন্ত্রের ব্যবহার সিমিত করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন সহ সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার থেকে দুরে থাকেন। এমনকি দিনের বেলাতেও যতটা সম্ভব যন্ত্রের ব্যবহার থেকে দুরে থাকেন।
৫. সংবাদপত্র পড়া বা বই পড়া।
বেশি বেশি সংবাদপত্র বা বই পড়বেন। এতে করে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে। আর মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে। এমনকি শেখার দক্ষতা বাড়বে।
৬.পরিমিত ঘুমানো।
সারাদিন কাজ করার ফলে আমাদের শরীর ও মন অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পড়ে। আর ঘুম আমাদের শরীর ও মন কে সতেজ করে। পরিমিত ঘুম আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমাদের পরিমিত ঘুমানো উচিত।
আশা করি সবাই এই আর্টিকেল টি পড়লে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এই উপায় সমূহ অনুসরণ করলে কিছুটা উপকৃত হবেন।আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সেয়ার করবেন।
You must be logged in to post a comment.